টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা

শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হেরেছে বাংলাদেশ। তবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা রাখছে সফরকারী দল। 

ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহষ্পতিবার (১০ জুলাই) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে না থাকা লিটন দাস বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিবেন। 

টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছরের শেষের দিকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর, বাংলাদেশ এই ফরমেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা করছে।।

তবে মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের হতাশা পুরো দলকে ভুগিয়েছে। পরের সপ্তাহেই পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হতে হয়। 

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা সবসময়ই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আইসিসির সহযোগী দেশ আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিষয়টি আরো বেশী করে সামনে এসেছে। ঐ সিরিজের পর থেকে ভিন্ন ট্রেনিং সেশনে ব্যাটাররা পাওয়ার-হিটিং নিয়ে কাজ করেছে। 

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন যেকোন ফর্মেটেই পার্টনারশীপ গড়ে তোলা দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। তার মতে বড় পার্টনারশীপের অভাবেই বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে।

গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর এ সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘সেট হবার আগেই আমরা দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। খুব বেশীদুর ব্যাটাররা যেতে পারেনি। আমাদের অবশ্যই এই দিকটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা যেকোন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্য অপরিহার্য্য। আজ যখন আমি ও হৃদয় ব্যাটিংয়ের ছিলাম তখন অনেকটাই ম্যাচের আবহ বুঝে ফেলেছিলাম। ঐ মুহূর্তে আমি আউট হয়ে যাই, আর এতে ম্যাচের গতি নষ্ট হয়েছে। বড় পার্টনারশীপ আর গড়ে উঠেনি। পার্টনারশীপে স্ট্রাইক রোটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। ১৭ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে জয়ী ও ১১টিতে পরাজিত হয়েছে। ২০১৮ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর (২১৫-৫) গড়েছিল বাংলাদেশ। 

এই ফরম্যাটে মাত্র সাতবার ২০০- এর বেশি রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খেলতে পারেননি। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ন শক্তির পেস আক্রমন নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজ অবশ্য আইপিএলে যোগ দেবার আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিলেন। 

পুনরুজ্জীবিত তাসকিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ গত তিন বছর ধরে তাদের কাজ অনবদ্যভাবে করে চলেছে। কিন্তু ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় পেসারদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যাচ্ছে।

টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বাংলাদেশের নির্বাচকরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ব্যাটার নাইম শেখকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।