ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাফা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি। এছাড়া পৃথক তিনটি হামলায় গাজায় আরো ১২ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার রাফাতে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এছাড়া উপকূলীয় এই ভূখণ্ডের আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় লড়াই চলছে।
একদিন আগেই গাজা উপত্যকা এবং মিশর সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কথা জানায় ইসরায়েল। এরপরেই রাফায় হামলা চালানো হয়। গাজার পুরো স্থল সীমান্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজা ও মিশর সীমান্তে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ওই এলাকা ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র দাবি করেন, সেখানে তারা ২০টির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে। হামাস এগুলো অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো। তবে মিশরীয় টেলিভিশনে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, রাফা শহরের কেন্দ্রস্থলে বেসামরিক এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করার সময় ইসরায়েল এই বিমান হামলা চালায় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২ ফিলিস্তিনির সকলেই বেসামরিক নাগরিক।
ইসরায়েল দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর গাজায় সংঘর্ষের খবর দিয়েছে কিন্তু রাফাতে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরো ৮১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।