মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে হামলার দাবি হুথিদের
লোহিত সাগরে মোতায়েন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী রণতরী আইসেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। তারই জবাবে এমন হামলা বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এ দাবি করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলায় ১৬ জন নিহত ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৪১ জন আহত হয়েছেন। হোদেইদাহ প্রদেশে সালিফ বন্দর, আল-হক জেলার একটি রেডিও ভবন, ঘালিফা শিবির ও দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার জবাব দিতে বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যাতে গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে আরও বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৩টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনী।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেসামরিক নাগরিক বা অবকাঠামোর ঝুঁকি কমাতে হামলার পরিকল্পনায় বরাবরের মতোই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এদিকে হুথি মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেল সালাম বলেছেন, গাজায় সমর্থনের শাস্তি হিসেবে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘‘তেহরান এ হামলাকে ‘ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।’’ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ‘‘ইয়েমেনি জনগণের বিরুদ্ধে এসব অপরাধের পরিণতির জন্য আগ্রাসী যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সরকার দায়ী।’’
ইয়েমেনের রাজধানী ও সবচেয়ে জনবহুল এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী হুথিরা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।