মালয়েশিয়ায় ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত
বিদেশি কর্মী নিয়োগে হয়রানি করায় ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
এদিকে আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে কর্মী ভিসায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময়। কিন্তু ভিসা ও অনুমোদন পেয়েও এখনো ফ্লাইটের টিকিট পাননি প্রায় ৩১ হাজার কর্মী। ফলে মালয়েশিয়া যাওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত পড়েছে তাদের। সকাল থেকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় পার করছেন মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা।
মালয়েশিয়ার গত মার্চের ঘোষণা অনুযায়ী,৩১ মে অর্থাৎ শুক্রবারের পর বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আপাতত মালয়েশিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। গত ২৯ মে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হাসনা মোহাম্মদ হাসিম সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
সময়সীমার কারণে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো আসন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এরপরও টিকিট-সংকট কাটছে না। ২৫-৩০ হাজার টাকার টিকিট এখন লাখ টাকায়ও মিলছে না।
এরই মধ্যে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে বিমানের ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একটি বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে।
বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ কর্মীদের অভিযোগ, এজেন্সিগুলো টিকিট ম্যানেজের আশা দিয়ে এখন প্রতারণা করছে। অনেকের ফোন ধরছে না, যোগাযোগ করছে না।
অনেককে আবার পরবর্তী ফ্লাইটের আশা দেওয়া হচ্ছে। অনেকরই অভিযোগ টিকিট পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত টাকা বেশি নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে প্রবাসী কর্মীরা।
এর আগে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। ২০২২ সালে আবারো শ্রমবাজার খোলার পর ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি সেখানে গেছেন। বর্তমানে ১২ লাখের বেশি কর্মী রয়েছেন মালয়েশিয়াতে।