হামাসের সম্মতির অপেক্ষায় গাজায় যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে

গাজায় চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে নতুন যে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, হামাস রাজি থাকলে ইসরায়েলও সেটি মেনে নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবির বরাতে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, মোট তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, যার প্রথম ধাপ শুরু হবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে।

ওই সময়ে গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হবে। দেওয়া হবে মানবিক সহায়তা। একই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যে বন্দী এবং জিম্মি বিনিময় হবে বলেও পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যদিও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই প্রস্তাবটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি এমন একটি সময়ে দেওয়া হলো যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার রাফাহ শহরে বিমান হামলা জোরদার করেছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র দেওয়া তথ্যমতে, হামলার মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পরে রাফার ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের সবকটি এখন খালি পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, মধ্য গাজার কিছু অংশ এবং খান ইউনিস শহর মিলিয়ে আরও অন্তত ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল রবিবার মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস রাজি হলে ইসরায়েলও ‘হ্যাঁ বলবে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন হামাসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’

ইসরায়েল ও হামাস, উভয়পক্ষই যত দ্রুত সম্ভব ঘোষিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর করতে সম্মত হবে বলেও আশা করছেন তিনি।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন করবি আরও আশা করছেন যে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে উভয়পক্ষই বৈঠকে বসবে। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই এই সময়ে বৈঠকে বসবে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে, দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি কেমন হবে এবং কখন সেটি শুরু করা যাবে।’