রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের মুক্তি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইমরানের সঙ্গে খালাস পেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিও।
সোমবার (৩ জুন) ইসলামাবাদের হাইকোর্ট রায়ে এই মামলা থেকে দুজনকে খালাস দেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
এই মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন দেশটির নিম্ন আদালত। পরে ওই রায় বাতিল চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা।
সোমবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি ছিল। শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত রায়ে ইমরান-কোরেশিকে মামলা থেকে মুক্তি দেন হাইকোর্টের একটি সমন্বিত বেঞ্চ।
রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি কূটনৈতিক তারবার্তা ইমরান ফেরত দেননি। পিটিআই দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ওই তারবার্তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।
২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান।
গত বছরের অক্টোবরে আদিয়ালা কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসিয়ে এ মামলায় ইমরান ও কোরেশিকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু কারাগারের ভেতরে এভাবে গোপনে বিচার করাকে বেআইনি ঘোষণা করে পুরো বিচারপ্রক্রিয়া বাতিল করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পরে কারা চত্বরে উন্মুক্ত আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ আদালত।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর এ মামলায় ইমরান ও কোরেশি দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হন। গত সপ্তাহে আদিয়ালা জেলা কারাগারে বিশেষ আদালতে নতুন করে এ বিচার শুরু হয়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। ইমরান খান দাবি করে আসছেন, রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতে সরকার ও সেনাবাহিনীর চক্রান্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা দেওয়া হয়েছে।