মোদির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে ভারতের মানুষ: কংগ্রেস
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে।
বিজেপি এবার এককভাবে ৩৭০ আসন এবং এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ আসনের লক্ষ্য র্নিধারণ করেছিল। কিন্তু ভোটের চিত্রে দেখা গেছে, এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন পাচ্ছে না। যেমনটা তারা ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল।
এবারের ফলাফলকে “মোদির নৈতিক হার” বলে উল্লেখ করেছে কংগ্রেস। দলটি বলেছে, “দেশের মানুষ মোদির বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছেন।”
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়গে, রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে “বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে আক্রমণ করে মন্তব্য করে কংগ্রেস।
মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, “ভোটের এই ফল বিজেপির নৈতিক হার। বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়াই করেছিল। এই লড়াই শেষ হয়নি। আগামী দিনেও আমরা সংসদে এ নিয়ে আওয়াজ তুলব। মানুষ এবার কোনো দলকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি।”
রাহুল গান্ধী বলেন, “মোদি-শাহ দেশের এজেন্সি ও অর্ধেক বিচার ব্যবস্থাকে কব্জা করে রেখেছে। আমাদের লড়াই ছিল তার বিরুদ্ধে। সংবিধান বাঁচানোর লড়াইয়ে এটাই প্রথম পদক্ষেপ।”
বিজেপি বিরোধী জোট “ইন্ডিয়া” দলের অন্যতম শরিক কংগ্রেস। সেই জোটের প্রত্যেকটি দলকে ধন্যবাদ জানান রাহুল। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের জোট-সঙ্গীদের সম্মান করি।”
রাহুল আরও বলেন, “ভারতের মানুষ স্পষ্ট জবাব দিয়ে দিয়েছে মোদি-শাহকে সরকারে চায় না তারা। এই ফল বড় বার্তা দিল মোদিকে।”
একই সঙ্গে আলাদা করে উত্তর প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রাহুল। তবে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে- “ইন্ডিয়া” কি সরকার গড়বে? কংগ্রেসের পুরোনো মিত্র চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ কী করবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
যদি এই দুই দল এনডিএ ছেড়ে চলে আসে তবে মোদির সরকার গড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। এটি নিয়ে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল আমরা বৈঠকে বসছি।”