স্বৈরাচারী সরকার পদ্ধতির বিপক্ষে রায় দিল ভারতের জনগণ, দ্য মিরর এশিয়াকে জহর সরকার

ভারতের জনগণ এমন একজন নেতার বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে যিনি সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী নীতিতে আর সরকার চালাতে পারবেন না, ভারতের একজন আইনপ্রণেতা এমনটি  জানিয়েছেন।

 

মোদি'র 'ভারতীয় জনতা পার্টি' নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ভারতের জনগণ এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তিনি সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী নীতিতে আর সরকার চালাতে পারবেন না, —কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক সচিব জহর সরকার, মিরর এশিয়াকে বলেছেন।

 

সর্বভারত তৃণমূল কংগ্রেস থেকে রাজ্য সভায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করছেন জহর সরকার।

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন জোটের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল; কিন্তু তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ফলত, ভোটাররা আরেকটি ভূমিধসের পূর্বাভাসকে অস্বীকার করেছে।

 

ভারতীয় প্রশাসনে ৪১ বছর ধরে পরিষেবা দায়িত্ব পালনকারী সরকারের মতে, ভারতের জনগণ মোদিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিরোধী দলকে ন্যায়সঙ্গত ক্ষমতা দিয়েছে।

 

তিনি ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১২ ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন। যে কোনও সচিবের জন্য তা দূরবর্তীকাল এবং তারপরে পাঁচ বছরের জন্য (২০১২- ২০১৭) ভারতের পাবলিক ব্রডকাস্টারের সিইও হিসাবে নিযুক্ত হন; কিন্তু তিনি কয়েক মাসের মধ্যেই  পদত্যাগ করেন।

 

মোদিকে এখন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটে তার মিত্রদের মতামত বিবেচনা করতে হবে এবং বিরোধীদের প্রতি যথাযথ সম্মান দিতে হবে, কারণ তিনি তার সীমা ছাড়িয়ে গেলে তার জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে, বলছিলেন জহর সরকার, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করেছেন।

 

বর্তমানে কয়েকটি অরাজনৈতিক সংস্থা থেকে সরে এসেছেন জহর সরকার। কিন্তু তিনি সংসদের ভিতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আগের চেয়ে আরও বেশি জনসাধারণের ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন ।