আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অনুমতি হারাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ৩০ মে ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হয়। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি নেই। আর তাই ট্রাম্পের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ।
বুধবার (৫ জুন) এক জ্যেষ্ঠ্য পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ট্রাম্পের আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার যে অনুমতি ছিল, তা ২০২৩ এর এপ্রিলে ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের পর স্থগিত করা হয়।
তিনি তিনটি নিবন্ধনকৃত পিস্তলের মালিক ছিলেন। দুইটি পিস্তল ২০২৩ এর ৩১ মার্চ নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অপর অস্ত্রটি ‘আইনী প্রক্রিয়া অনুসারে ফ্লোরিডায় স্থানান্তর’ করা হয়।
গত ৩০ মে ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি নেই।
অর্থাৎ, ট্রাম্প এখনো ফ্লোরিডার বাসভবনে পিস্তলটি সংরক্ষণ করে থাকলে তা আইনের লঙ্ঘণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব পায়নি সিএনএন।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নিউইয়র্ক পুলিশের আইন বিভাগ একটি তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যার পর ‘খুব সম্ভবত ট্রাম্পের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
তবে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্দুক রাখার অনুমতি রয়েছে ট্রাম্পের।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ ট্রাম্পের সুরক্ষায় ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে।