পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি পুতিনের!

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি পুতিনের!

কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন এরই মধ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটর ও এক পশ্চিমা কর্মকর্তার। এবার এ প্রসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবে না।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর প্রথম পুতিন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। যার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি থেকে শুরু করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে সহায়তাকারী দেশগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে পুতিন জানান, ‘এটি প্রশ্নাতীত নয়।’ অর্থাৎ প্রয়োজনে রাশিয়া বিষয়টি বিবেচনা করবে। রাশিয়ার ২০২০ সালের পারমাণবিক মতবাদ তথা নিউক্লিয়ার ডকট্রিনের প্রতি ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, ‘কিছু কারণে পশ্চিমারা বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘তবে বাস্তবতা হলো, এই মতবাদ রাশিয়াকে বিকল্প হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি ভাবার প্রতি অনুমতি দেয়। বিশেষ করে কেউ দেশের (রাশিয়ার) বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে বা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।’

পুতিন বলেন, ‘আমাদের একটি পারমাণবিক মতবাদ আছে। দেখুন এটি কী বলে! যদি কারও কাজ আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে, তাহলে আমরা সব উপায় ব্যবহার করতে পারব। এটিকে হালকাভাবে বা ভাসাভাসাভাবে নেওয়ার সুযোগ নাই।’