বেলুন ও স্পিকারকাণ্ডে ফের যুদ্ধে জড়াচ্ছে দুই কোরিয়া?
কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা যেন কমছেই না। দক্ষিণ কোরিয়ায় দফায় দফায় আবর্জনাভর্তি বেলুন পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে কোরীয় সীমান্তে লাউড স্পিকারে সম্প্রচার শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দুই দেশের এমন পাল্টাপাল্টি ‘আক্রমণ’ সামরিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
বেশ কয়েক বছর ধরে কারণে-অকারণে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সিউলকে। এবার সেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালার কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়ার বেলুনকাণ্ড।
গেল ২৯ মে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় ময়লা-আবর্জনাভর্তি দুই শতাধিক বেলুন পাঠায় উত্তর কোরিয়া। দেশটির দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাক্টিভিস্টরা উত্তর কোরিয়াবিরোধী লিফলেট প্রচার করায় তার জবাবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
এরপর থেকে পিয়ংইয়ং দফায় দফায় শত শত বেলুন পাঠিয়েছে সিউল সীমান্তে। একে তো স্নায়ুযুদ্ধ, এর ওপর উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ড যেন সামরিক উত্তেজনাকেই উসকে দিচ্ছে।
আবার উত্তর কোরিয়ার এমন উস্কানির জবাব দিতে সম্প্রতি কোরীয় সীমান্তে লাউড স্পিকারে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ পিয়ংইয়ং-এর শাসকদের জন্য ‘অসহনীয়’ হতে পারে। তবে, এতে উত্তর কোরিয়ার সেনা ও জনগণের জন্য ‘আশা ও আলোর বার্তা’ থাকবে।
কিন্তু সিউলের এমন পদক্ষেপে বেজায় চটেছে পিয়ংইয়ং।
কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং সীমান্তে লাউড স্পিকারে ‘গুজব’ ছড়ানো বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। এরপর পিয়ংইয়ং ৩০০টিরও বেশি আবর্জনাভর্তি বেলুন পাঠিয়ে দেয় সিউল সীমান্তে। হুঁশিয়ারি দেয়, গুজব ছড়ানো বন্ধ না হলে বেলুন পাঠানোও বন্ধ হবে না
তবে তা পাত্তা না দিয়ে সীমান্তে লাউড স্পিকারে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালানো, চলমান উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে দুই দেশের মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব সরাসরি যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা অনেক বিশ্লেষকের।