আরো ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হজের আমন্ত্রণ সৌদি বাদশার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারের আরো ১ হাজার হজযাত্রীকে আতিথেয়তা দেয়ার জন্য একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, গেল মে মাসেও ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজ পালনের সুযোগ দেয়ার কথা জানায় সৌদি আরব।
সংবাদমাধ্যম গাল্ফ নিউজ জানিয়েছে, নতুন ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাদশাহ সালমানের হজ অতিথি কর্মসূচির আওতায় ফিলিস্তিন থেকে মোট হোস্ট করা হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজারে।
সৌদির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ আল শেখ বলেছেন, গাজার জনগণ যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা কিছুটা দূর করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি নেতৃত্বের এই মানবিক উদ্যোগ গাজায় যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের হজ করার সুযোগ দেবে। এই উদ্যোগ ফিলিস্তিনের ভাইদের জন্য সৌদির ক্রমাগত সমর্থনেরই অংশ।
বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার শহীদদের পরিবার থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আনার জন্য ‘হোস্টিং ইনিশিয়েটিভ ফর পিলগ্রিমস ফ্রম দ্য ফ্যামিলিস অব মার্টায়ার্স অ্যান্ড দ্য ওউন্ডেড ফ্রম দ্য গাজা স্ট্রিপ’ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া হজের আগে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী মক্কা নগরী থেকে কয়েক লাখ অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে বের করে দিয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাতে রোববার (৯ জুন) সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, মক্কা নগরী থেকে যাদের বের করে দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ জনই বিদেশি।
তারা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে আসেন এবং হজ পালনের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না।
পাশাপাশি, হজের অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের অন্যান্য শহর থেকে মক্কায় আসা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৭ জনকে মক্কা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম বিশ্বে হজ অন্যতম অবশ্য পালনীয় ফরজ ইবাদত, যা প্রতি আরবি বছরের জিলহজ মাসে পবিত্র শহর মক্কায় অবস্থিত কাবাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সারা বিশ্ব থেকে লাখো মানুষ সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হন। মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখ নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।