নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে চীনের প্রধানমন্ত্রী
বাণিজ্য এবং ‘বন্ধুত্বের’ প্রতি গুরুত্বারোপের কথা উল্লেখ করে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু করেছেন।
ছয় দিনের সফরে লি পাঁচটি ভিন্ন শহরে পা রাখবেন। দুই দেশেরই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন তিনি। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন এবং চীনের ট্রেডমার্ক ‘পান্ডা কূটনীতিতে’ নিয়োজিত হবেন।
পান্ডা কূটনীতি বলতে বন্ধুত্ব, শুভেচ্ছার প্রতীক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চীনা সরকারের অন্যান্য দেশকে ঋণ দেওয়াকে বোঝায়।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তার মোটরযান পৌঁছানোর সাথে সাথে উল্লসিত জনতা সমর্থকরা ড্রাম বাজিয়ে এবং ব্যানার নেড়ে লিকে অভ্যর্থনা জানায়।
এ সময় চীন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দল তার গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ওয়েলিংটনে পৌঁছানোর পরপরই লি চীনের সাথে ব্যবসা করার ফলে যে ‘কার্যকর সাফল্য অর্জিত’ হয়েছে তা তুলে ধরে একটি বিবৃতি দেন।
লি কিয়াং নিউজিল্যান্ডের সাথে চীনের ‘ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব’ নবায়নের লক্ষ্যে বাণিজ্য, পর্যটন এবং বিনিয়োগকে শক্তিশালী করার সুযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
লির পূর্বসূরির এই দেশগুলো সফরের সাত বছরে উভয় স্বাগতিকদের সাথে চীনের সম্পর্ক ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডকে দীর্ঘকাল ধরে এই অঞ্চলে চীনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসাবে দেখা হয়। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিংয়ের ভূমিকার সমালোচনায় দেশটি ক্রমশ সাহসী হয়ে উঠেছে।
এদিকে, চীনের সম্প্রসারিত সামরিক শক্তির প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিন্তু একটি ধ্রুবক রয়ে গেছে: চীন এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিওফ্রে মিলার বলেছেন, লি’র সফর একটি সুস্পস্ট বা বোধগম্য বার্তা বহন করে না। সবকিছু ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
লি শনিবার সকালে নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যিক কেন্দ্র অকল্যান্ড থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শহর অ্যাডিলেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।