ধানের নতুন জিন আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা
ধানের নতুন জিন আবিষ্কার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইব্রিড ধানের বীজ উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে শ্রমঘন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধানের বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। এর ফলে হাইব্রিড ধানের চাষ ব্যাপক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এর মাধ্যমে ছোট এবং বড় দানার বীজ উৎপাদন করা হবে। এর পর শুধুমাত্র একটি চালনি ব্যবহার করে হাতের স্পর্শ ছাড়াই যান্ত্রিকভাবে হাইব্রিড বীজগুলোকে অন্যসব শস্যদানা থেকে সহজে আলাদা করা যাবে।
হাইব্রিড জাতের ধান চাষের ফলে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এতে করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তবে কায়িক শ্রম নির্ভর হাইব্রিড বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়া ধান উৎপাদনে কৃষকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।
রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স, হাইনান সিড ইন্ডাস্ট্রি ল্যাবরেটরি এবং চায়না ন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউট ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ৩ জুন একটি গবেষণাপত্র পিয়ার-রিভিউ জার্নাল নেচার প্ল্যান্টস-৩ এ প্রকাশ করেছেন।
আগামী প্রজন্মের হাইব্রিড বীজ উৎপাদনের জন্য ছোট শস্যদানার পুরুষ ও জীবাণুমুক্ত বীজগুলো অন্য আকারের শস্যবীজ থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। দলটি আবিষ্কার করেছে যে, আদর্শ ছোট আকারের শস্যদানা পাওয়া যাবে যেখানে শস্যদানার সংখ্যা একই রকমের থাকবে। মাঠ পরীক্ষায় দেখা গেছে, হাইব্রিড বীজের কারণে ধান উৎপাদন ২১ থেকে ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।