দ্বিতীয় মেয়াদে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সিরিল রামাফোসা। এবার যদিও এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি তার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি); গড়তে হয়েছে জোট সরকার।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সিরিল রামাফোসা। দিনভর নানা নাটকীয়তার পর সন্ধ্যায় বিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসে। সেখানে রামাফোসাকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য নির্বাচিত করেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনপ্রণেতারা।

এবার এএনসির সঙ্গে মধ্য ডানপন্থি ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) এবং কয়েকটি ছোট দল মিলে জোট করেছে; যাকে বলা হচ্ছে “জাতীয় ঐক্য সরকার”। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো।

এখন রামাফোসার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ জোট সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা। এতে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধী রাজনৈতিক দল ডিএ’র সদস্যদেরও রাখতে হবে।

যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে জোটের প্রশংসা করেছেন রামাফোসা। তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের প্রত্যাশা হলো- সবার ভালোর জন্য নতুন জোট সরকারের নেতারা একসঙ্গে কাজ করবেন।”

এর আগে, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নেলসন ম্যান্ডেলার ঐতিহাসিক দল এএনসি।

নির্বাচনে ৪০% ভোট পায় ক্ষমতাসীন এএনসি। ডিএ পায় ২২% ভোট।  আইনসভায় আসনসংখ্যায় এএনসির পর দ্বিতীয় বড় দল ডিএ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় জোট সরকার গড়ার বিকল্প ছিল না রামাফোসার। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়ার ডাক দেন তিনি।

২০১৭ সালে এএনসির প্রেসিডেন্ট হন রামাফোসা। পরের বছর দেশটির প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে তখনকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।