দক্ষিণ কোরিয়ায় রণতরী পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ কোরিয়ায় রণতরী পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো নতুন রূপ দিতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তাদের সেই অর্জনের পথে বাঁধ সাধছে। তবে পুতিনের সফরের পর আশার আলো দেখছে উত্তর কোরিয়া। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু প্রযুক্তিতে সহায়তা করতে পারে রাশিয়া। এমনটা ঘটলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। পুতিনের এমন সফরের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পরমাণু-চালিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থিওডোর রুজভেল্টকে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সংবামাধ্যম বিবিসির তথ্যানযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগেই একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে উত্তর কোরিয়া। এরপরই শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী একটি রণতরী।

দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুসান নৌঘাঁটিতে রণতরিটি আগমনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হয়েছে। 

জানা গেছে,  কিছুদিন পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে মিলে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নেবে থিওডোর রুজভেল্ট। গত আগস্টেই এই তিন দেশের নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা এমন একটি নৌ মহড়া করবে। এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি বৃদ্ধি এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় এমন মহড়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন দেশ তিনটির নেতারা।

ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নাইনের কমান্ডার মার্কিন রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার অ্যালেকজান্ডার জানিয়েছে, তিন দেশের নৌবাহিনী ও সামুদ্রিক বাহিনী অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়্যারফেয়ার এবং এয়ার ডিফেন্স মহড়া চালাবে। এই নৌ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম এজ’। 

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রণতরীর আগমনের আগের দিনই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদ জানাতে এ পদক্ষেপ নেয় সিউল। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পুতিন ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবার উত্তর কোরিয়া সফর করেন।

সিউল বলেছে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার চুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউল ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার কথা বিবেচনা করছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মুখোমুখি কিয়েভ।

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও একে অপরের ভূখণ্ডে বেলুন পাঠানোর মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে দুই দেশ।