ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন

ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানী থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় থিম্পুতে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং তোবগে এবং বাংলাদেশের  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সচিবসহ ভুটান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ভুটান চেম্বার অব কমার্সের নেতা, বিপুল সংখ্যক ভুটানী ব্যবসায়ী, আমদানিকারক এবং কারুশিল্প ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ভুটান এবং বাংলাদেশ দু’দেশের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে থিম্পুতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপিত হলো। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশি পরিবেশ বান্ধব এবং বায়ো ডিগ্রেডেবল পাটপণ্য ভুটানসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যে প্রদর্শনী কিন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ভুটান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি পাটজাতপণ্যের উপর বিশেষ প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ। তিনি পাটজাত পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা এবং এই শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরেন।

উদ্বোধন শেষে ভুটানের নেতা ও ব্যবসায়ীরা প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং বাংলাদেশী পাটজাত পণ্য ঘুরে দেখেন। তারা বাংলাদেশের পাট থেকে উৎপন্ন বহুমুখী পণ্য যেমন-ব্যাগ, জুতা, কার্পেট, টিস্যুবক্স, কিচেন আইটেম, পোশাক, অফিস ফাইল, কনফারেন্স ফাইল, কলমদানী এবং গৃহসজ্জার বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেখে অভিভূত হন। তারা অচিরেই ভুটানে বাংলাদেশী পাটজাত পণ্যের একটি স্থায়ী বাজার গড়ে উঠবে বলে মতামত প্রদান করেন।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায় যে, অদূর ভবিষ্যতে পণ্যের পরিমাণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ভুটানের বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে এই প্রদর্শনী কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর ফলে ভুটানের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশী পাটজাহ পণ্যের বাজার গড়ে উঠবে।