দোষ স্বীকারের শর্তে মুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ফাইল ছবি। এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারের মুখোমুখি হবেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ব্রিটেনে যে পাঁচ বছর তিনি কারাভোগ করেছেন, সেটিও এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। এর অর্থ হলো অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন।

এক এক্স বার্তায় উইকিলিকস এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জ সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছেন। ফৌজদারি অপরাধের দোষ স্বীকার করায় অ্যাসাঞ্জকে কারামুক্ত করা হয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে মার্কিন আইন ভঙ্গ করার জন্য ক্ষমা চাইবেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। উইকিলিকস জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জ জেল থেকে বেরিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বাইরে চলে গেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উইকিলিকস জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনগুলো, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়ছেন, আইনসভার সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসাঞ্জের মুক্তির জন্য যে প্রচার চালিয়েছিলেন, তা জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনার পর অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের কড়া হয়। এসব মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি একটিমাত্র আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন। জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোপনীয় বিষয় ফাঁস করা এবং চক্রান্তের দায় স্বীকার করবেন তিনি।

২০০৬ সালে অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর এই ওয়েবসাইট হাজার হাজার পাতার মার্কিন সামরিক নথি প্রকাশ করে। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন সামরিক নথিও ছিল। এছাড়া কূটনীতিকরা যেসব বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেসবও ফাঁস করে দেন তিনি।