ইসরায়েলকে গোপনে অস্ত্র দিচ্ছে ভারত

৬ জুন গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশের লেবেলে লেখা ছিল ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে ইসরায়েলি নৃশংসতা। সেখানে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এসব অভিযানে যে অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো ভারতের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে নির্মূলের এই অভিযানের মাঝে ভারতের কাছ থেকে রকেট ও বিস্ফোরক পেয়েছে ইসরায়েল।

আল জাজিরা বলেছে, তাদের বক্তব্যের পক্ষে নথি রয়েছে। নথির বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল ভারতের চেন্নাই থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ‘বোরকাম’ নামে একটি জাহাজ ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তবে ইয়েমেনের সশত্র গোষ্ঠী হুতিদের হামলা এড়ানোর জন্য লোহিত সাগর দিয়ে না গিয়ে জাহাজটি আফ্রিকা ঘুরে ইসরায়েলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পথে স্পেনে যাত্রাবিরতি করার চেষ্টা করলে স্প্যানিশ সরকার তাতে রাজি হয়নি। ওই জাহাজের বিষয়ে স্পেনের বামপন্থি সংগঠনগুলো প্রতিবাদ গড়ে তোলে।

জাহাজটি গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সলিডারিটি নেটওয়ার্ক (রেসকপ) বলছে, বোরকাম জাহাজটি ২০ টন রকেট ইঞ্জিন, বিস্ফোরক চার্জসহ সাড়ে ১২ টন রকেট, ১ হাজার ৫০০ কেজি বিস্ফোরক এবং কামানের জন্য ৭৫০ কেজি চার্জ এবং রকেট প্রোপেল্যান্ট বহন করছিল। এছাড়াও ভারতের আরেকটি কার্গো জাহাজ গত ২১ মে স্পেনের কার্টেজেনা বন্দরে প্রবেশ করতে চাইলে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস জানিয়েছে, ‘মারিয়েন ড্যানিকা’ নামে জাহাজটি ভারতের চেন্নাই বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল এবং ২৭ টন বিস্ফোরক নিয়ে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন, জাহাজটি ইসরায়েলের জন্য সামরিক পণ্য বহন করছিল বলেই বন্দরে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হয়নি। অন্যদিকে গত ৬ জুন গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশের ভিডিও প্রকাশ করে কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক। এতে একটি লেবেলে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল- ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’।