কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে জেলে গেলেন দোকান মালিক

কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে জেলে গেলেন দোকান মালিক

কর্মীদের প্রতি সন্তুষ্টি ও তাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বেতন বাড়িয়েছিলেন মিয়ানমারের মোবাইল ব্যবসায়ী উ পিয়া ফিও জাও। মান্দালয় শহরে তার তিনটি দোকান রয়েছে। 

তবে বেতন বাড়ানোর খবরে কর্মীরা দারুণ খুশি হলেও চটেছেন জান্তা সরকার। ফেসবুকে দোকান মালিকের উদারতার কথা দ্রুত ছড়ানোর পরপরই তাকে গ্রেফতার করে সামরিক বাহিনী।

শুধু ব্যবসায়ী উ পিয়া ফিও জাওকে গ্রেফতার নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় তিনটি দোকানও। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মানুষকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মিয়ানমারের একজন আইনজ্ঞ জানান, মিয়ানমারে বেতনবৃদ্ধি অবৈধ নয়। মূলত গ্রেফতার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কর্মীদের বেতন বাড়ানোর মাধ্যমে তারা মানুষদের বিশ্বাস করাচ্ছেন যে, দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছে জান্তা।

ফিও জাওয়ের একটি দোকানের বাইরে সেনারা একটি নোটিশ টানিয়ে দিয়েছেন। সেখানে লেখা, ‘সমাজের শান্তি ও আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর কারণে’ দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, আমরা বেতনবৃদ্ধির জন্য খুব কৃতজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু এখন দোকান বন্ধ, আর বেতন পাবো না। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের চড়া দামের কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান এবং এর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে গণতন্ত্রকামীদের বিদ্রোহে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট। দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন আর আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতির কারণে বিপাকে রয়েছে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। 

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস