ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর আরও এক কমান্ডার নিহত

পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর আরও একজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) পূর্ব লেবাননের বালবেক শহরের উত্তরে শাথ এলাকায় এ হামলায় চালানো হয়।

শাথ শহরের একটি গাড়িতে ড্রোন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েল। এতে গাড়ির চালক নিহত হন।

নিহতের নাম মায়সাম আল-আত্তার, যিনি স্থানীয় হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা। তার একাধিক সামরিক মিশন পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আছে বলে জানা গেছে।

শনিবার লেবাননের সামরিক সূত্র থেকে জানা যায়, দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের পাঁচটি গ্রাম ও শহরে অন্তত ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এসময় সীমান্তের সাতটি শহর ও গ্রামে বোমাবর্ষণ করেছে তারা।

পাল্টা জবাবে ড্রোন ও রকেট দিয়ে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ, যার মধ্যে রয়েছে- রুয়াইসাত আল-আলম এবং বাইত হিলেলে অবস্থিত ৪০৩য় ব্যাটালিয়ন, আল-সামাকা ও জেবদিন।

এর আগে, গত বুধবার (৩ জুলাই) লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টায়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হজ আবু নিমাহ নামে হিজবুল্লাহর এক সামরিক নেতা নিহত হন। তিনি দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত এলাকার পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় সেক্টরের সীমান্তরেখায় কাজ করতেন।

২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইরানও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তারাও ইসরালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সর্বোপরি, এটি একটি বড় পর্যায়ের আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।

সম্প্রতি হিজবুল্লাহর মোকাবিলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সৈন্য জড়ো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, আমাদের কাছে নতুন এমন অস্ত্র ও গোয়েন্দা সক্ষমতা রয়েছে, যা ইসরায়েলের গভীরে আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার সক্ষমতা রাখে।

জবাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারাও হিজবুল্লাহকে তাদের পূর্ণ সক্ষমতা দেখায়নি। যুদ্ধ শুরু হলে লেবাননও আরেকটি গাজায় পরিণত হবে।

তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করা হবে।