মার্কিন-জার্মান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিলো মস্কো

মার্কিন-জার্মান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিলো মস্কো

রাশিয়ার পশ্চিম সীমান্তবর্তী কুরস্ক শহর দখল ও পুনরুদ্ধারের পাল্টাপাল্টি দাবিতে জমে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরমধ্যেই ইউক্রেনে মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির তিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মস্কো গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জার্মান নির্মিত আইআরআইএসটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ভিডিওতে দিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের একটি মাঠে দুটি প্যাট্রিয়ট লঞ্চার এবং একটি এএন/এমপিকিউ-৬৫ রাডার স্টেশনের ড্রোন ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এরপর ক্ষেত্রটিতে একটি ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্রের ক্লাস্টার বোমার সাহায্যে আঘাত করা হয়। এতে রাডার স্টেশন এবং পেট্রিয়ট লঞ্চার দুটিই ধ্বংস হয়ে যায়।

এর আগে রুশ বিমান হামলা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনকে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

এদিকে কুরস্ক অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনাবাহিনীর রসদ সরবরাহের জন্য সেতুটি ব্যবহার করতো ক্রেমলিন। সেতুটি ধ্বংসের কারণে সেনাদের সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে, সেতুটি ধ্বংসের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর এ পর্যন্ত টানা ৯০৪ দিনের মতো চলছে এই যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু সেনা ও বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে বেড়েছে সংঘাত।