ভারতে চিকিৎসক ধর্ষণ: কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের টাস্কফোর্স গঠন

ভারতের আর জি কর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার কয়েকদিন পর কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে সুপারিশ করতে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করেছেন ভারতের শীর্ষ আদালত।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দেশজুড়ে চিকিৎসা খাতে কর্মরতদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নীতিমালা তৈরি করা হবে।

প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয়া যশবন্ত চন্দ্রচূড় বলেন, ‘চিকিৎসক ও নারী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা রক্ষা জাতীয় স্বার্থ ও সমতার নীতির বিষয়। কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশ আরও একটি ধর্ষণের অপেক্ষা করতে পারে না।’

গত ৯ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ভারতজুড়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসা খাতের কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও মোমবাতি মিছিল করছেন। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত জরুরি রোগী ছাড়া বাকিসব রোগীদের সেবা দিতে সাময়িক অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা বলছেন যে এই হত্যাকাণ্ড ভারতজুড়ে হাসপাতাল ও মেডিকেল ক্যাম্পাসগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার দুর্বলতা তুলে ধরে।

আদালত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কমিটিকে বৃহস্পতিবার তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। এ ঘটনায় একজন স্বেচ্ছাসেবী পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, এটি একটি গণধর্ষণ এবং এ হত্যাকাণ্ডে আরও লোক জড়িত ছিল।

এদিকে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করায় ভারতজুড়ে হাজার হাজার রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর যে কোনো আক্রমণকে অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করাসহ সহিংসতা থেকে তাদের রক্ষা করতে আরও কঠোর আইন দাবি করছেন চিকিৎসকরা।

ভারতে দীর্ঘসময় ধরে চলমান নারী নির্যাতনকে ঘিরে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩১ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার এই ঘটনা। ন্যায়বিচারের দাবিতে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে নারীরা।