ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঠিপেটা করল পুলিশ!

ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঠিপেটা করল পুলিশ!

ভারতজুড়ে ধর্মঘট চলার মধ্যে এক ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনার ডাকবাংলো চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় ওই সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) সাদাপোশাকে ছিলেন। পুলিশের এক সদস্য তাকে সাধারণ মানুষ মনে করে লাঠিপেটা করেন। লাঠিপেটার শিকার ওই এসডিএমের নাম শ্রীকান্ত কুন্ডলিক খান্দেকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলার মধ্যে হঠাৎ সেখানে এসডিএম শ্রীকান্ত কুন্ডলিক চলে আসেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গকারী পুলিশের এক সদস্য অন্যদের সঙ্গে তাকেও লাঠিপেটা করেন।

যদিও তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা ওই পুলিশ সদস্যকে নিবৃত করেন এবং রক্ষা পান ওই ম্যাজিস্ট্রেট। অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে আক্রমণকারী পুলিশ সদস্য এসডিএম শ্রীকান্তের কাছে ক্ষমা চান।

ভারতজুড়ে ডাকা ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থার (এনএসিডিএওআর) ধর্মঘটের অংশ হিসেবে আজ পাটনার ডাকবাংলো চত্বরে বিশাল মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীরা সেখানকার এজেপি গোলম্বার মোড়ে ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে এবং জলকামান ব্যবহার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৭ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ দেশটির তফসিলি সম্প্রদায় ও তফসিলি আধিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় আরও উপ-শ্রেণিবিভাগ সৃষ্টির পক্ষে রায় দেন। ছয়জন বিচারক নতুন উপ-শ্রেণিবিভাগ সৃষ্টির পক্ষে মত দেন। একজন বিপক্ষে মত দেন।

এই রায়ের ফলে রাজ্যপর্যায়ে দেশটির কোটাব্যবস্থা পিছিয়ে পড়া আরও নতুন জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে পুরোনো তফসিলি সম্প্রদায়ের আসন কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তাই এনএসিডিএওআর সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মেনে নেয়নি। তারা সারা ভারতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। বহুজন সমাজ পার্টিসহ (বিএসপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের সমর্থন জানিয়েছে।

বিহারের পাশাপাশি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ রাজ্যে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল দেখা গেছে।