নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বাইডেনের গুরুতর অভিযোগ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বাইডেনের গুরুতর অভিযোগ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে বিক্ষোভে উত্তাল পুরো ইসরায়েল। এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে যেন আরো ঘি ঢেলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে একটি কার্যকরী চুক্তি নিশ্চিত করতে যথেষ্ট কাজ করছে না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত শনিবার (৩১ সেপ্টেম্বর) ছয়জন ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকার একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে আমেরিকান ইসরায়েলি হার্শ গোল্ডবার্গ পোলিনের মরদেহও ছিল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, সম্প্রতি ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধারা তাদের হত্যা করেছে। যদিও হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমায় এসব বন্দি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহের উদ্ধারের পরের দিন রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোমবারও (০২ সেপ্টেম্বর) বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ করেন লাখ লাখ ইসরায়েলি। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ দেশটির প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন হিস্ট্রাড্রট ধর্মঘট পালন করেন। এতে নতুন করে চাপের মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জো বাইডেন। সেখানে এই সপ্তাহে দুই পক্ষের কাছে একটি চূড়ান্ত বন্দি মুক্তির চুক্তি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘আমরা এর খুব কাছাকাছি আছি।’

এই চুক্তির প্রস্তাব সফল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশা চিরন্তন’। এ ছাড়া বন্দিবিনিময়ের চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে নেতানিয়াহু যথেষ্ট কাজ করছেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘না’।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। তাদের হাতে এখনো ১০১ জন বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।