পেঁয়াজ রফতানির শর্ত শিথিল করল ভারত

পেঁয়াজ রফতানির শর্ত শিথিল করল ভারত

পেঁয়াজ রফতানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ভারত। প্রতি টন পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, তা প্রত্যাহার করেছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রফতানি শুল্ক।

দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’ সংক্রান্ত শর্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানায় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বের কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো দামে পেঁয়াজ রফতানি করতে পারবেন।

এদিকে, ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে, হ্রাসকৃত শুল্ক শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত একসময় পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য ৫৫০ ডলারে নির্ধারণ করে দেয়। এছাড়া রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার। ভারতের এই দুই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল দেশটি থেকে পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করা। দিল্লির এই পদক্ষেপ ভারত থেকে রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে সাহায্য করে।

ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুধু জুন মাসেই ভারতের পেঁয়াজ রফতানি ৫০ শতাংশেরর বেশি কমেছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন।

সর্বনিম্ন রফতানিমূল্য বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজচাষিরা লাভবান হবেন। কারণ, তারা স্থানীয় বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিশ্ববাজারে পেঁয়াজ রফতানি করতে পারবেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পেঁয়াজচাষিদের এই সুবিধা দেওয়া হলো। মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা। পেঁয়াজ রফতানি কমে যাওয়ার কারণে এই রাজ্যের চাষিরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন।