ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে ইসরায়েলিদের

ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে ইসরায়েলিদের

ইসরায়েল একটি নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে। ইয়েমেন থেকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে ইহুদিবাদী দেশটির রাজধানী তেলআবিবে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ওই ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে ব্যর্থ হয়। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেলআবিবের ওপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্ববাসী এবং পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

অভাবিতপূর্ব ওই হামলার কথা তাদের মুখেমুখে উচ্চারিত হচ্ছে ৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বেনগুরিয়ানের কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ইসরায়েলিরা আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যায়।

হিব্রু পত্রিকাগুলো স্বীকার করেছে যে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র বেশ কয়েকটি আরব দেশের আকাশসীমা পাড়ি দিয়ে তেল আবিবে গিয়ে আঘাত হেনেছে। ইহুদিবাদীদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ওই ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

ইয়েমেন সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও মুখপাত্র হাশেম শরফুদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর একেবারে বুক লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি যে এই সরকার এখন আর নিরাপদ নয়।

এদিকে তেলআবিবের ওপর ইয়েমেনের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ওই হামলা যারা করেছে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।

ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের আবাসিক এলাকা ছিল না, তবে ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে টার্গেট করে যথাযথ বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র অবাধে তেলআবিবে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতা এবং কৌশলগত ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করছেন পর্যবেক্ষকরা।