পাকিস্তানে ৬ সেনা নিহত, বন্ধ ইন্টারনেট
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আর এই ঘটনার ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে। ফলে রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখাওয়ারে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় সেনা সদস্যসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ইসলামাবাদের এই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকালের পর আজ শনিবারও ইসলামাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এসবের মধ্যে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
দ্য ডন জানিয়েছে, শুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইর সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে জারি থাকা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করার। কিন্তু পুলিশের বাধায় সেই বিক্ষোভ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়ার পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।
লাহোরের খবর জানিয়ে দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার কথা আছে ইমরানের সমর্থকদের। তারা জড়ো হলে লাহোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে পাঞ্জাব প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করে। সেনাদের বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে মোতায়েন করা হবে বলে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সেনাবাহিনীর সাথে জঙ্গিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, জঙ্গিদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। আর অপর পাঁচজন হলো জঙ্গি বাহিনীর সদস্য। খাইবার পাখতুনখাওয়ার নর্থ ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।