ফুরিয়ে আসছে প্রতিরোধ ক্ষেপণাস্ত্র, কঠিন বিপদে ইসরায়েল

ফুরিয়ে আসছে প্রতিরোধ ক্ষেপণাস্ত্র, কঠিন বিপদে ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্যে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে নিজেই এখন কঠিন বিপদে আছে দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের নিবন্ধে ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ ফুরিয়ে আসার খবর দিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমটি বলেছে, ইসরায়েলি সরকার হিজবুল্লাহ, হুথি, ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধা ও ইরানের হামলা প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম- ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের অভাব দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল তার দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে থাড অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।

গত ১ অক্টোবর ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় বেশ সামান্যই প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিল, ইরানের নিক্ষেপ করা ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়ার মতো ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ছিল না ইসরায়েলের।

ইরানের ওই অভিযানে প্রায় ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র নাভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছিল এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র মোসাদ সদর দফতর থেকে ৭০০ মিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ডানা স্ট্রোলকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলেছে, ইসরায়েলি গোলাবারুদের অভাব প্রকট আকার ধারন করেছে। ইরান যদি ইসরায়েলে আবার হামলা চালায় এবং হিজবুল্লাহ এতে যোগ দেয় তাহলে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক চাপে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার গোলাবারুদ মজুদ সীমাহীন নয় এবং এটি একই সময়ে ইউক্রেন এবং ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যেতে পারে না। আমরা একটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছি। গাজা এবং লেবাননে বছরব্যাপী যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে মঙ্গলবার একটি ব্রিটিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।