ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কায় ১০ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় দানার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হাজার হাজার ত্রাণকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুটি রাজ্যের পরিবহণ ও যোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য ট্রেন ও ফ্লাইট।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ১০০-১২০ কিলোমিটার/ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগ নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বরাবর জেলাগুলির বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা খাবার, পানি ও স্বাস্থ্য সুবিধা নিয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রেখেছেন।
উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, ঝড় মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আতঙ্কিত হবেন না, নিরাপদে থাকুন এবং সাবধানে থাকুন।
বিবিসি জানিয়েছে, উড়িষ্যার ১৪টি জেলা থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে।
দুই রাজ্যের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দলকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভুবনেশ্বর ও কলকাতা শহরের বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ঝড়ের জন্য প্রস্তুত থাকায় ২০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রায় প্রতি বছরই উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। এর আগে, ১৯৯৯ সালে উড়িষ্যার ঘূর্ণিঝড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।