ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ইরান

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ইরান

ইসরায়েলে গত ১ অক্টোবর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী দেশ ইরান। সেই হামলার পর পালটা হামলার হুমকি দেয় ইসরায়েল। এই অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এক হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ইরান। যেকোনো সময় শত্রুপক্ষকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটি।  মূলত দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনের মুখে গাজা ও লেবাননে ইরানের মিত্ররা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই নিজে সরাসরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

চারটি ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের জবাব দিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তেহরান এই যুদ্ধ এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ইসরায়েলি আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য একাধিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইসরায়েলি হামলা কতটা ‘ভয়াবহ’ হয়, তার ওপর নির্ভর করেই প্রতিক্রিয়া জানাবে ইরান।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা যদি ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, বিশেষ করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তবে ইরান ব্যাপক কড়া জবাব দেবে। যেমনটা দিয়েছে চলতি মাসের শুরুতে। তবে ইসরায়েলি হামলা যদি ইরানের সামরিক ঘাঁটি, বিভিন্ন সামরিক গুদাম লক্ষ্য করে চালানো হয়, তাহলে হয়তো ইরান খুব একটা প্রতিক্রিয়া জানাবে না।

ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ও জ্বালানি অবকাঠামো বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করে, তবে তার প্রতিক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য খামেনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের বড় ধরনের ক্ষতি করে, তবে প্রতিক্রিয়ায় ইরান ১ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলে।

এদিকে, রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি আক্রমণের বিপরীতে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে সমানুপাতিক ও নির্ভুল।’

গত মঙ্গলবার কুয়েতে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি জানান, তিনি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নিশ্চিত আশ্বাস পেয়েছেন যে ইরানের ওপর আক্রমণ চালাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে বা তাদের ঘাঁটিতে জ্বালানি নিতে দেওয়া হবে না।