নির্বাচনে ট্রাম্প জেতায় দুশ্চিন্তায় ফিলিস্তিনিরা

নির্বাচনে ট্রাম্প জেতায় দুশ্চিন্তায় ফিলিস্তিনিরা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি।

ট্রাম্প আগামী চার বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট থাকবেন। তার এবারের শাসনামল নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের নতুন শাসনামল ফিলিস্তিনিদের জন্য আরো খারাপ হতে পারে। কারণ, যখন তিনি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন তখন ফিলিস্তিনিরা বিভিন্নভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছে।

কাতারের দোহাভিত্তিক সংস্থা মিডল ইস্ট কাউন্সিলের বিশ্বসম্পর্ক বিষয়ক গবেষক ওমর রহমান জানিয়েছেন এমন শঙ্কার কথা।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ফিলিস্তিনিরা কঠোর চারটি বছর পার করেছিল। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে এবারের আমলটি আরো খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিমতীরের বাসিন্দাদের আতঙ্ক বাড়বে। তাদের শঙ্কা গাজার গণহত্যা পশ্চিমতীরে নিয়ে আসবে দখলদার ইসরায়েল।’

এই বিশেষজ্ঞের মতে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের আমলটি ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘বিপর্যয়েরও বাইরে’ ছিল। তারা শুধুমাত্র ইসরায়েলকে সমর্থন দেননি। গাজার গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সব ফিলিস্তিনির জন্য এটি আসলে একটি ভয়ের মুহূর্ত। কারণ সত্যি বলতে কেউই ইসরায়েলকে থামাতে চায় না।’

এদিকে গাজার বর্বরতায় দখলদার ইসরায়েলকে সহযোগিতা করায় এবার কমলা হ্যারিসকে এবার মুসলিম আমেরিকানরা ভোট দেননি। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অনেকে ভোট দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিশেষ করে মিশিগানের আরব মুসলিমরা দুজনের কাউকে ভোট দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে জানা যায় তারা আসলে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।