মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রথম হিন্দু পরিচালক হচ্ছেন তুলসী
আমেরিকার কংগ্রেসের সাবেক ডেমোক্র্যাট সদস্য তুলসী গ্যাবার্ডকে দেশের গোয়েন্দা বিভাগের নতুন প্রধান (ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) নিয়োগ করলেন নব–নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলসী কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রথম হিন্দু প্রতিনিধি যিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হতে যাচ্ছেন। তবে ২০২২ সালে ডেমোক্র্যাট দল থেকে বেরিয়ে আসনে তুলসী এবং চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন জানান।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাতেও ছিলেন তুলসী। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কের সময় ট্রাম্পকে সাহায্য করেন তুলসী।
বুধবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তুলসী গ্যাবার্ড একজন অভিজ্ঞ এবং এক সময়ের ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন সাহস যোগাবে।
গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে মনোনীত করার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তুলসী। তিনি বলেছেন, মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আপনার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগের জন্য ধন্যবাদ। আমি কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
এপি বলছে, ৪৩ বছর বয়সী তুলসী যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি হাওয়াইয়ে বড় হয়েছেন এবং শৈশবে ফিলিপাইনে একবছর কাটান।
তুলসীর মা ক্যারোল এবং বাবা মাইক গ্যাবার্ড ছিলেন আমেরিকান সামোয়া। তুলসীর দুই বছর বয়সে তারা পাকাপাকিভাবে হাওয়াইয়ে চলে যান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলসীর মা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন এবং হিন্দু ধর্মের কিছু আচার, রীতি-নীতিও পালন করতেন। তাদের বাড়িতে কীর্তন হতো। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে কিশোরী বয়সে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন তুলসী।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভারতীয় মার্কিনিদের মধ্যে তুলসী বিপুলভাবে জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প বা ওবামা যেই হোন না কেন কেউ ভারতবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন তুলসী।