যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হিজবুল্লাহ

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হিজবুল্লাহ

ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার এ বিষয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। একে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে গুরুতর প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেছেন, সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত জবাব জমা দিয়েছে লেবানন। হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে এসেছেন।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার এ পর্যায়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পাঁচজন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন বৈরুতে হামলা চালাল ইসরায়েল। হামলার পর মধ্য-বৈরুতের জেলার নিকটবর্তী জুক্বাক আল-ব্লাত এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামলার পর থেকে দুই জন নিখোঁজ রয়েছে।

জানা গেছে, ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে সমর্থন দিয়েছে। খলিল বলেন, লেবানন ইতিবাচক পরিবেশে প্রস্তাবটির ওপর তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেয়া সব মন্তব্যে জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো মেনে চলার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। খলিল মূলত ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে পাস হওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর কথা উল্লেখ করেছেন।

এই প্রস্তাবে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত ও লিটানি নদীর (যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কি.মি উত্তরে অবস্থিত) মধ্যবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর যেকোনো সশস্ত্র উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খলিল বলেন, এই উদ্যোগের সাফল্য এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। যদি ইসরায়েল সমাধান না চায়, তাহলে তারা ১০০টি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।