ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া, মহারাষ্ট্রে বিজেপি
ভারতের দুই রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ধরাশায়ী হয়েছে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার জোট ইন্ডিয়ার কাছে। যদিও মহারাষ্ট্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ৪১টি আসন। সেখানে ৫৬ আসনে জয় পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এর মধ্যে জেএমএম পেয়েছে ৩৪টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ১৬টি আসন, আরজেডি পেয়েছে ৪টি আসন এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন পেয়েছে ২টি আসন। এই রাজ্যে বিজেপি জয় পেয়েছে ২৪ আসনে। এই দুই জোটের বাইরে গেছে একটি আসন।
অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের আরেক রাজ্য মহারাষ্ট্রে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। সেখানে কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব) ও এনসিপির (শরদ পাওয়ার) ইন্ডিয়া জোটকে ধরাশায়ী করেছে বিজেপি ও এর জোটসঙ্গীরা। ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩৬টিতেই জয় পেয়েছে তারা। ৪৮টিতে জয় পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এছাড়া চারটি আসনে অন্য প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির জোট। সেবার পৃথকভাবে নির্বাচনে লড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বাবুলাল মরান্ডির ‘ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা-প্রজাতান্ত্রিক’ (জেভিএমপি)। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাবুলালকে দলে ভিড়িয়ে রাজ্য সভাপতি করেছিল বিজেপি। তবে এটিও সুবিধা এনে দিতে পারেনি। অথচ, মাত্র ছয়মাস আগেও লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে একতরফা জয় পেয়েছিল বিজেপি। ১৪টি আসনের মধ্যে আটটিতে জিতেছিল তারা। অন্যদিকে, জেএমএম তিন এবং কংগ্রেস দু’টিতে জিতেছিল। লোকসভা ভোটে এনডিএ ৪৭ এবং ইন্ডিয়া ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই পাল্টে গেল চিত্র।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের আগেই সরকার গড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেলে বিজেপি জোট। অথচ, পাঁচ মাস আগেও লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে ২৩টি আসনে জয়ী হলেও ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রের মাত্র ৯টি লোকসভা আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। অনেকে ভেবেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনেও হারতে হবে তাদের। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালে প্রবল মোদীঝড়ে মহারাষ্ট্রে ১২২টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এ বার সেই ‘ঝড়’ না-থাকলেও দশ বছর আগের সাফল্যকেও ছাপিয়ে গেলেন দেবেন্দ্র ফডণবীসেরা।