সিরিয়ার জনগণকে রাজপথে বিজয় উদযাপনের আহ্বান
সিরিয়ার জনগণকে রাজপথে বিজয় উদযাপনের আহ্বানসিরিয়ার জনগণকে রাস্তায় নেমে বিপ্লবের বিজয় উদযাপন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
তিনি জানান, জি-৭ সংগঠনের নেতারা সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে একটি সাধারণ উদযাপন প্রত্যাশা করেছে। খবর তাসের।
আবু মোহাম্মদ আল- জোলানির ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বে গত রবিবার ব্যাপক হামালায় রাজধানী দখলের পর প্রেসিডেন্ট আসাদ গোষ্ঠীর অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরশাসনের অবসান হয়।
সরকারবিরোধীদের হামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া থেকে পালিয়ে সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে সন্দেহভাজন ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাগারে বন্দি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৪ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
শুক্রবার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর প্রধান জোলানিকে এক ভিডিওতে সাদা শার্ট ও ভেস্ট পরে উপস্থিত হতে দেখা যায়। এটা তার সাধারণ সামরিক পোশাকের থেকে আলাদা।
তিনি বলেন, আমি সিরিয়ার জনগণকে এই পবিত্র বিপ্লবের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি তাদের রাস্তায় নেমে আনন্দ প্রকাশের আহ্বান জানাই, তবে গুলি ছোড়া এবং মানুষকে ভয় দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমরা এখন দেশ গড়ার কাজে মনোযোগী হবো।
জোলানির এই বার্তা এমন সময় আসলো যখন রাক্কায় গুলি ছোড়া নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাক্কা শহরে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতন উদযাপনে শত শত মানুষ রাস্তায় নামেন। কিন্তু এক ব্যক্তি ভুলবশত মেশিনগানের গুলি চালিয়ে ফেলেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ‘রাক্কা ইজ বিয়িং স্লটারড সাইলেন্টলি’ নামের একটি সংগঠনের মতে, ওই গুলির পর স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে মার্কিন-সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) নিরাপত্তা কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পাথর ছোড়াছুড়ি ও পাল্টা গুলির ঘটনায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়।
একজন সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলির ঘটনায় অন্তত একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রাক্কায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ ও তুরস্ক-সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ এই শহরের কিছু বাসিন্দা এসডিএফের কাছ থেকে শহরের নিয়ন্ত্রণ এফএসএ’র হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন।