কাশ্মীরে ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙা ঠান্ডা
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় যবুথুবু ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর। শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ৫০ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন এই রাজধানীতে এত ঠাণ্ডা পড়ার রেকর্ড নেই। শ্রীনগরের ঐতিহ্যবাহী ডাল লেক জমে বরফ হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ১৯৭৪ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঠান্ডা পড়ল শ্রীনগরে। সেবার তাপমাত্রা নেমেছিল মাইনাস ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে। ১৮৯১ সাল থেকে শ্রীনগরে দৈনন্দিন তাপমাত্রা মাপা শুরুর পর থেকে শুক্রবার রাতটা ছিল শ্রীনগরের তৃতীয় শীতলতম রাতও।
অবশ্য শ্রীনগরের অতীত রেকর্ড বলছে, এখন পর্যন্ত সেখানে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সালটা ছিল ১৯৩৪, আর দিনটা ছিল ১৩ ডিসেম্বর।
শ্রীনগরের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের অন্য অনেক জায়গাতেও শুক্রবার জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে। তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে। শনিবার থেকে কাশ্মীরে ‘চিল্লাই-কালান’ শুরু হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবল শীতের প্রথম ৪০ দিনকে কাশ্মীরি ভাষায় ‘চিল্লাই-কালান’ বলা হয়। প্রবল ঠান্ডায় সমস্যা বাড়ছে। পানির পাইপ জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে।
ডাল লেক-সহ জলাশয়গুলো জমে বরফ হয়ে গেছে। পর্যটকরা তা দেখে হতবাক হচ্ছেন ৷ লাঠির বাড়ি মেরে লেকের বরফ ফাটানোর চেষ্টা করছেন শিকারার বাহকরা ৷ পর্যটকরা বলছেন, প্রথমবার ভ্রমণে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে তারা অভিভূত ৷
কেবল ডাল লেকই নয়, বাড়িঘ-গাছপালার ওপরও জমেছে বরফের মোটা আস্তরন। ঠান্ডা আর শুকনো বাতাসে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা।
আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী ৪০ দিন এমন হাড়কাঁপানো ঠান্ডাই থাকবে কাশ্মীরে। প্রত্যেক বছর চিল্লাই কালানের প্রথম দিকে ভারী তুষারপাত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম তো হয়ইনি, বরং সময়ের আগেই শীতের দাপট শুরু হয়েছে।