ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে কাতার। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি বলেছেন, ইইউ’য়ের সদস্যরাষ্ট্রগুলো বাধ্যতামূলক শ্রম এবং পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে নতুন কঠোর আইন চাপিয়ে দিলে কাতার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

রোববার ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই হুমকি দেন। এ বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ‘করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ’ (সিএসডিডিডি) নামের বিধান অনুমোদন করেছে।

এর আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে কাজ করা বড় কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবরাহ চেইনগুলো বাধ্যতামূলক শ্রম ব্যবহার কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে আইনটিতে। সেক্ষেত্রে জরিমানা হবে সরবরাহ কোম্পানির বিশ্বব্যাপী মোট ব্যবসা থেকে আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত।

কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি বলেন, “ইউরোপে গিয়ে অর্জিত রাজস্বের ৫ শতাংশ হারাতে হলে, আমি ইউরোপেই যাব না। আমি ভয় দেখাচ্ছি না। কাতারএনার্জির অর্জিত রাজস্বের ৫ শতাংশ মানে কাতার রাষ্ট্রের অর্জিত রাজস্বের ৫ শতাংশ। এটি জনগণের অর্থ। তাই এ ধরনের অর্থ আমি খোয়াতে পারি না। কেউই এটা মেনে নেবে না।”

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কাতারএনার্জির প্রধান নির্বাহী আল-কাবি বলেন, ইইউ’র উচিত ডিউ ডিলিজেন্স আইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনঃপর্যালোচনা করা। আর যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দেশের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির সীমা তুলে নেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, তা নিয়ে কাতারের কোনও উদ্বেগ নেই।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এলএনজি রফতানিকারক দেশের মধ্যে অন্যতম কাতার। তরলীকৃত গ্যাসের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ার মুখে কাতার এশিয়া ও ইউরোপে এ খাতে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাইছে। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতি বছর তরলীকরণ ক্ষমতা বর্তমানের ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে ১৪২ মিলিয়ন টন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কাতার।