গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক
বিদ্রোহের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাকে আটক করতে তিন হাজারেরও বেশি পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। পরে রক্তপাত এড়াতে তদন্তে সহায়তা করতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনীতিবিদ।
ইয়ন সুক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তিনি নিজেকে সমর্পণ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি দিয়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে দেখি, তখন রক্তপাত এড়াতে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও এই জিজ্ঞাসাবাদ অবৈধ।
বুধবার সকালে মোটরশোভাযাত্রা নিয়ে তদন্তকারীদের অফিসে যেতে দেখা গেছে তাকে। অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে কর্তৃপক্ষের কাছে এখন ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে। এরপর আদালতের কাছে তাকে ২০ দিনের মতো আটকে রাখার পরোয়ানা চাইবেন তারা অথবা ছেড়ে দেওয়া হবে।
ইয়ন সুকের গ্রেপ্তারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তাকে জনসমক্ষে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা আইনজীবীরা। স্থানীয় একটি সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় ইয়ন সুকের অশ্রুসিক্ত সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের হালকা ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর স্বল্প-সময়ের জন্য দেশে সামরিক আইন জারি করেন তিনি, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। এরপরই তাকে সরে দাঁড়াতে বলে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।
ছোট্ট একদল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় পাহাড়ের পদদেশে নিজের বাসস্থানে ছিলেন ইয়ন সুক। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে ফিরে যেতে হয়েছে তদন্তকারীদের।
এশিয়ার সবচেয়ে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র ও চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। সামরিক শাসন জারি করার পর দেশটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
দেশটিতে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার হলেন। যদিও আগে সেখানকার সাবেক নেতাদের কারাবন্দি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার দৃষ্টান্ত আছে।