যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৩০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসের যুদ্ধ এবং হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল এবং হামাস, যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু চুক্তি হলেও থেমে নেই ইসরায়েলের বর্বর হামলা। চুক্তির পর থেকে গাজা উপত্যকাজুড়ে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত এক লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন। এদের মধ্যে বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যায় ইসরায়েল। অবশেষে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গতরাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল–থানি তার কার্যালয়ে আলাদাভাবে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে একমত হন দুই পক্ষ।