প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে গৃহীত ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ থেকে বেরিয়ে আসার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মূলত ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গত এক দশকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সর্ববৃহৎ কার্বন নির্গমনকারী এই দেশটিকে এই জলবায়ু চুক্তির বাইরে নিয়ে যাওয়া হলো। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প বিশ্বের সর্ববৃহৎ কার্বন নির্গমনকারী এই দেশটিকে বের করে নিয়েছিলেন।

পরে ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন জো বাইডেন। মূলত বাইডেন হোয়াইট হাউসে বসার ঠিক এক মাস পর আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি বা প্যারিস চুক্তিতে ফিরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্যারিসে স্বাক্ষরিত বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশ্বর দেশগুলোকে একতাবদ্ধ করেছিল। সেসময় দুইশটির মতো দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে ঐক্যমত্য পোষণ করে।

মূলত বিজ্ঞানীরা বরাবরই বলেছেন, পৃথিবীতে আসন্ন বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্যারিস চুক্তিকে অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। আর এমন সময়ই এই জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে স্বাক্ষর করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৈশ্বিক এই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ যেসব উপাদান রয়েছে তা হলো: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম করা। গাছ, মাটি ও সমুদ্র প্রাকৃতিকভাবে যতটা শোষণ করতে পারে, ২০৫০ সাল থেকে ২১০০ সালের মধ্যে কৃত্রিমভাবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা।

এছাড়া প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রত্যেকটি দেশের ভূমিকা পর্যালোচনা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে দরিদ্র দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর ‘জলবায়ু তহবিল’ দিয়ে সাহায্য করার মতো উপাদানও এই চুক্তিতে রয়েছে।