প্যারিস চুক্তি প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল যুক্তরাষ্ট্র
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত হয়েছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কের সদরদপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘অর্থদাতা হিসেবে প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের কথা ২৭ জানুয়ারি মহাসচিবকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তির ২৮ ধারার অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে, ২০২৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি। এ সময়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ ও প্যারিস চুক্তির প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকারের পুনর্ব্যক্ত করেন মুখপাত্র।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার প্রথম দিনেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের জন্য যা বড় একটি ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এরআগে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে এই চুক্তি থেকে সরে আসার উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রথম দিনেই চুক্তি পুনর্বহাল করেন জো বাইডেন।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে এই চুক্তিকে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। যা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ‘জাতীয় জ্বালানি জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থেকে সরে এসে তেল ও গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে দেশগুলোর প্রতি আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণতার উৎসগুলোকে সীমিত করতে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয় এটিকে।