যুক্তরাষ্ট্রে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়ে শিশুসহ নিহত ৭

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একটি মেডিকেল পরিবহন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি উড়াল দেওয়ার পরই সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলায় পরিণত হয়ে যায়; এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি বসতবাড়িও আক্রান্ত হয়েছে।

ছোট্ট উড়োজাহাজটিতে একটি অসুস্থ শিশু, তার মা ও আরও চার মেক্সিকান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ভূমিতে থাকা এক ব্যক্তিও আছেন। বিবিসি ও এপি এমন খবর দিয়েছে।

ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেলি পারকার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘উড়োজাহাজটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়, সেখানে একটি গাড়িতে থাকা ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। এই বিমান দুর্ঘটনায় আরও ৯ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’

নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে কনস্যুলার অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া সেইনবাম।

লিয়ারজেট ৫৫ নামের বিমানটি পরিচালনাকারী জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জানিয়েছে, ‘জীবন-ঝুঁকিতে থাকা একটি মেয়ে শিশুকে ফিলাডেলফিয়ায় চিকিৎসা শেষে পরিবার তাকে নিয়ে মেক্সিকোয় ফিরছিলেন। শিশুটি ও তার মা ছাড়াও চার ক্রু সদস্য ছিলেন উড়োজাহাজটিতে।

যারা এটি চালাচ্ছিলেন, সেই ক্রু সদস্যরা খুবই ভালো প্রশিক্ষিত বলেও জানিয়েছে জেট রেসকিউ। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটির মুখপাত্র সেই গোল্ড বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনা খুবই বিস্ময়কর ও যন্ত্রণাদায়ক। উড়োজাহাজটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। একটি পয়সাও নষ্ট করা হয়নি, কারণ আমরা জানি, আমাদের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আরও কিছু নিরীহ প্রাণ হারিয়ে গেল। আমাদের লোকজন সেখানে পুরোদমে কাজ করছে। প্রাথমিক উদ্ধারকারীরা যা করেছে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয় ‘

এর দুদিন আগে বুধবার রাতে মাঝআকাশে ৬০ যাত্রীসহ আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে ব্ল্র্যাক হোক সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়েছে এতে প্রায় ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। গেল দুই দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেনি। সামরিক হেলিকপ্টারে তিন সেনা সদস্য ছিলেন।