২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি
প্রায় তিন দশক পর দিল্লির ক্ষমতায় বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি—বিজেপি। বিজেপির কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির দল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিল্লির বিধানসভার ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শুরু হওয়ার আগেই বুথফেরত জরিপে বিজিপিকে জয়ী দেখানো হয়েছিল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
এর আগে, টানা দুই মেয়াদে দিল্লির ক্ষমতায় ছিলেন আপ নেতা কেজরিওয়াল। ২০১২ সালে দেশটির রাজধানীতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন শুরু করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি দিল্লির ক্ষমতায় বসেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন কেজরিওয়াল। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করায় গত নির্বাচনেও তিনি ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তিনি গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিজেপি তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ থাকলেও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন দলটি।
পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়ে দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৫৬ বছর বয়সী এই নেতা। পদত্যাগের পর জাতীয় নির্বাচনি প্রচারে মনোনিবেশ করেন তিনি। তবে যে আসনগুলোতে তিনি জয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন, সেগুলোতেও হেরে যান। এবার বিধানসভার নির্বাচনেও তার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত।
চলতি বিধানসভার নির্বাচনি প্রচারে কেজরিওয়ালকে হারাতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে ছিল আড়াই হাজার নারীকে মাসিক আড়াই হাজার রুপি করে ভাতা এবং গর্ভবতী নারীদের এককালীন ২১ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা প্রদান। এ ছাড়াও ক্ষমতায় এলে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি, বয়স্কদের মাসিক পেনশন ও তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে ১ হাজার ৫০০ রুপি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল মোদির দল।
বিধানসভার এই নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে, পরবর্তীতে যা আইন প্রণয়নে দলটির জন্য সহায়ক হয়।