রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে ইউক্রেন: ট্রাম্প

ইউক্রেন ‘কোনো এক সময় রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান তৎপরতার মাঝেই এমন বক্তব্য দিলেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিপাবলিকান-সমর্থিত ফক্স নিউজে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা একটি চুক্তি করতে পারে, আবার না-ও করতে পারে। কোনো এক সময় তারা রাশিয়ান হয়ে যেতে পারেন, আবার না-ও পারেন।’

এ সময় তিনি ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিনিময়ে মুনাফা অর্জনের ওপর জোর দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সেখানে যে পরিমান অর্থ খরচ করেছি, সেই সমমূল্যের বিরল খনিজসম্পদ চাই।’ তিনি আশা করেন ইউক্রেনও এই চুক্তিতে সম্মত হবেন।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমার্ক জানিয়েছেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’ বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পেতে চুক্তির আলোচনায় প্রস্তুত কিয়েভ।

তবে আন্দ্রে জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও পুনরায় রাশিয়ার আগ্রাসনের স্বীকার হওয়ার আশঙ্কা করছে কিয়েভ। এ কারণে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী সামরিক সহায়তা আশা করছে তারা। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে ন্যাটোর সদস্যপদ কিংবা দেশটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়ন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত রবিবার নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই ফোনালাপের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়াও চলতি সপ্তাহে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ।