কুম্ভ মেলা: নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮
ভারতের নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে কুম্ভ মেলার যাত্রীদের ভিড়ের চাপে প্রচণ্ড হুড়োহুড়ির মধ্যে অন্তত ১৮ জন নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
নয়া দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রিতু সাক্সেনা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ রেলস্টেশনে গাদাগাদি করে ঢুকে পড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু এবং ১০ নারী রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স পোস্টে স্বজন হারানো মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি হিন্দি লিখছে, ওই সময় স্টেশনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব কুম্ভ মেলায় যাচ্ছিলেন বা সেখান থেকে আসছিলেন।
রুবি দেবী নামের একজন বলেন, স্টেশনে ভিড় এত বেশি ছিল যে- তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না।
আরেকজন বলেন, “পুলিশ তাদের কাজ করেছে, কিন্তু ভিড় এত বেশি হয়ে গিয়েছিল, নিয়ন্ত্রণের উপায় ছিল না।”
রেল কর্মকর্তারা জানান, স্টেশনে তখন দুটি ট্রেন বিলম্বিত ছিল, তৃতীয় একটি ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল- সেটা যাচ্ছিল কুম্ভ মেলার স্থান প্রয়াগরাজের দিকে। ওই সময় ভিড় অনেক বেড়ে গেলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
প্রয়াগরাজের যাত্রী ধর্মেন্দ্র সিংহ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “এই স্টেশনে এত মানুষ এর আগে আমি দেখিনি। আমার সামনে দিয়ে ছয়-সাতজন নারীকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে গেল।”
অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল’ বলে দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কেপিএস মালহোত্রার ভাষ্য।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, পদদলনের ঘটনাকে শুরুতে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানালেও তাদের সংখ্যা তখন প্রকাশ করেনি।
এর আগে জানুয়ারি মাসে মহাকুম্ভে ভোরের আলো ফোটার আগে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩০ জনের। মৌনি অমাবস্যা উপলক্ষে অনেক তীর্থযাত্রী পবিত্র স্নান করার জায়গায় যেতে হুড়োহুড়ি করলে পদদলনের ওই ঘটনা ঘটে।