গবেষণায় ট্রাম্পের তহবিল বন্ধের প্রতিবাদে বিজ্ঞানীদের বিক্ষোভ

বিভিন্ন সংস্থা থেকে কর্মীছাঁটাই ও জীবন-রক্ষাকারী গবেষণার রাস টানতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা তহবিল কাটছাঁট করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

জবাবে শুক্রবার (৭ মার্চ) গবেষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী, নির্বাচিত কর্মকর্তারা রাস্তায় নেমে আসেন। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, বোস্টন, শিকাগো, ম্যাডিসন ও উইসকনসিনে সড়কে নেমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ সময়ে মার্কিন সরকারের এসব সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন’ বলে আখ্যা দেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সহস্রাধিক লোক বিক্ষোভ করছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গবেষক জেসি হেটনার। ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নিজের রাগ ঝাড়তে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আর কখনোই এতো ক্ষুব্ধ হইনি। তারা সবকিছুতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন।’

এ সময়ে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের প্রধান হিসেবে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রের নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হেটনার। কারণ এরআগে টিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন কেনেডি জুনিয়র।

হেটনার বলেন, ‘আপনি যদি এমন একজনকে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দায়িত্ব দেন, যিনি মনে করেন পৃথিবীটা হচ্ছে সমতল ও গোল। সেটা তো ঠিক না। কাজেই বিজ্ঞানে অর্থ ঢালেন, ধনকুবেরদের না। বিজ্ঞানে ভর করেই গড়ে উঠেছে আমেরিকা।

গ্রোভার নামের এক বিজ্ঞানী বলেন, ‘বর্তমানে যা কিছু ঘটছে, তা নজিরবিহীন।’