পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইরানের পাশে রাশিয়া-চীন
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে রাশিয়া, চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ইরানের। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া।
যদিও সম্প্রতি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই রাশিয়া ও চীনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করল ইরান।
বৈঠক শেষে রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পারস্পারিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনা হওয়া উচিত। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া উচিত।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। বছরখানেক পর ইরানও চুক্তি থেকে সরে আসতে শুরু করে।
ইরানের সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে চীন ও রাশিয়া এবার বলেছে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে। তাই তাদের পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকারকে পূর্ণরূপে সম্মান করা উচিত।
চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওক্সু বৈঠকের পরে বলেন, চীন, রাশিয়া ও ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ চিহ্নিত ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘চীন, রাশিয়া ও ইরান সব ধরনের বেআইনি একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।’
হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তেহরান।
সম্প্রতি ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘ইরান প্রত্যাখ্যান করলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।’
এরপর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন না। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো ধরনের হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে না। আপনার যা ইচ্ছা তাই করুন।’