তুরস্কের ইস্তানবুলের মেয়র গ্রেপ্তার

তুরস্কের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও রাজধানী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মাকাণ্ডের অভিযোগে বুধবার (১৯ মার্চ) তাদের গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে অন্যতম একরেম ইমামোলু। তিনি যাতে আগামীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তার বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অপরিহার্য।

হঠাৎ করেই দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর ধারপাকড় বেড়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন কৌঁসুলিরা। আটকদের মধ্যে একরেম ইমামোলুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুরাত অনগুনও রয়েছেন।

ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও শহরে সব ধরনের বিক্ষোভের ওপর চার দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, গত বছরের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের ক্ষমতাসীন দলের বড় ধরনের পরাজয় ঘটেছে। এজন্য দেশটিতে আগামী নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এ কারণে বিরোধীদের ওপর ধারপাকড় বেড়েছে।

দেশটির আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এই গ্রেপ্তার কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না। গ্রেপ্তারের আগের দিন সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় একরেম ইমামোলু বলেন, ‘আমরা ব্যাপক অত্যাচারের মধ্যে আছি। কিন্তু কোনোভাবেই আমরা থেমে যাব না।’

সরকার মানুষের ইচ্ছাশক্তিকেও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুরস্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরদোগান। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসকও তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বর্তমান মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ভবিষ্যতে আর দীর্ঘসময় তিনি ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন।