মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আড়িপেতে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে : চীন
চীন সাইবারসিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (সিসিআইএ) বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর মার্কিন প্রভাব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চায়না সাইবারসিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (সিসিআইএ) ‘মোবাইল ডিভাইস এবং গ্লোবাল কমিউনিকেশন সিস্টেমে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আড়িপাতাসহ তথ্য চুরি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাপী সাইবারসিকিউরিটি নির্মাতা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গবেষণা এবং বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে ‘সিনহুয়া’ জানিয়েছে, ১১টি অধ্যায় সম্বলিত ওই প্রতিবেদনে স্মার্ট মোবাইল ডিভাইস এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণ কিংবা অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেসব কার্যকলাপ চালাচ্ছে তা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিম কার্ড, সিস্টেম সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ডেটা ক্যাবল, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, সেলুলার নেটওয়ার্ক, জিপিএস, বৃহৎ ইন্টারনেট। এছাড়াও আইটি কোম্পানিগুলোর ডেটা সেন্টার সমগ্র মোবাইল শিল্প, ইকোসিস্টেমের মতো বিভিন্ন নেটওয়ার্ক পণ্যের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আক্রমণ ও অনুপ্রবেশ ক্ষমতা তৈরি করার মতো কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের তথ্য, অ্যাকাউন্ট, ডিভাইস, লিঙ্ক, অবস্থান এবং অন্যান্য তথ্য ব্যাপকভাবে চুরি করছে। বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের কর্মকাণ্ড একটি গুরুতর হুমকি।
‘চায়না সাইবারসিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (সিসিআইএ)’ এর কর্মকর্তাদের মতে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সাইবার স্পেসে আক্রমণের জন্য সাইবার হামলার সরঞ্জামও ব্যাপকভাবে তৈরি করেছে। তারা লাগাতর সাইবার হামলা চালিয়ে, সাপ্লাই চেইনে আপস্ট্রিম সুবিধাগুলোকে কাজে লাগায়। এমনকি ব্যবহারকারীদের ডেটাতে বিশেষ অ্যাক্সেস পেতে লিঙ্কড-ইনের মতো প্ল্যাটফর্মকেও কাজে লাগায়।
প্রতিবেদনে ক্রমাগতভাবে তথ্য চুরির ক্ষেত্রে মার্কিন সাইবার আক্রমণ মোকাবেলার জন্য দেশগুলোর সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মোবাইল অপারেটর, স্মার্ট ডিভাইস, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কূটনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।